ভারতের ৭৪তম স্বাধীনতা দ্রিবস উপলক্ষে
সামাজির দুরত্্রজায় ক্েখেই, ১৫ই অগা গুঞজন দিনটি পালিত হল। বাংলাদেশীরা দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে উদযাপন গুজন করলেন, কারণ ওটা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 8৫তম শীহাদত বাধিকী। ভজন
আবার এ দিনটিই ছিল খাষি অরবিন্দের জন্মদিন। কাজেই বাঙ্গালির কাছে ১৫ই অগাস্ট একটি অবিস্মরণীয় এবং শিক্ষণীয়
৯৮
রী এ
751551911055855151087 পত্রিকাটির প্রথম প্রকীশ-হয় ইং ১৯৭৭ সালে... 819]
05150558-84দশ্ণ ঠা
পায়ে পায়ে
গ যুগ ধরে সকল সাহিত্যিকদের বহু মূল্যবান: সৃষ্টিকর্মে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলার সাহিত্যজগৎ। কিন্তু সেই সকল থত করে নিয়ত। সম্প্রতি তেমনই একজন বিশিষ্ট প্রথিতযশা সাহিত্যিক, শ্রী নিমাই ভট্টাচার্যের মহাপ্রয়াণ বাংলার সাহিত্য জগতকে এক বিশাল শোকছায়ায় আবৃত করেছে। তৎকালীন অবিভক্ত বাংলায় ১৯৩১ সালে নিমাইবাবু জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম জীবনে সাংবাদিকতার কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন।, দীর্ঘ ২৫;রছর সাংবাদিকতা করার: সুবাদে, তিনি বহু কাছ-থেকে রাজনৈতিক মহল ও অন্যান্য আতিশয্যপূর্ণ দুনিয়াকে. দেখেছেন্ব।: তাই তাঁর লেখার. মধ্যেও সেইসব অভিজ্ঞতার. চিত্রসকল বাস্তবতার অক্ষরে পরিস্ফুটিত- হয়েছে৷ তাঁর 'প্রথম- গ্রন্থ “রাজধানীর নেপথ্যে” প্ররাশিত- হয়. ১৯৬৪ সালে। পরবর্তাকালে লেখালেখিকেই/তিনি+প্রেশা' হিসাবে, গ্রহন রুরেন।জ্তার লেখা উপন্যাসের 1সংখ্যা-১৫০, এরও অধিক, যার মধ্যে “মেমসাহেব, “এডিস', “রাজধানী এক্সপ্রেস" ইত্যার্দি”প্রাঠর মহলে, সুপঠিত এবং সুপ্রশর্টীগিত। উপন্যাস্স--ও্এছোটগল্লের পাশাপাশি ররপ্লুবী*বিবেকানন্দ'র মতো রিইও তিনি লিখেছেন রাংলী” সিনেমািজীগ্মীতে ১পৌম্যান্টারুতার মাইলফলক *হিসাবে স্মরনীয়। “বাংলার জনপ্রিয়" লেখক। হিয়্াবে 'নিয়াইবারু,প্রাঠরুদের মনে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন; . বিনীতা রাজশ্রী দত্ত, সম্পাদিকা, গুঞ্জন ২ গুঞ্জন ২. অগাস্ট ২০২০
01010
রহস্য গল্পের প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকদের জন্য একটি অবশ্য পঠনীয় গ্রন্থ “রহস্যের ৬ অধ্যায়” প্রকাশিত হয়েছে।.আধুনিক যুগের নিয়েই এই ছয়টি গল্পের রচনা । কলেজ স্ট্রীট 'অরণ্যমন'এর স্টল থেকে বইটি সংগ্রহ করতে ভুলবেন না।
0]. 171005:/ / 820 তাত
১১5১5
কলম হাতে
আমাদের কথা - পায়ে পায়ে রাজজ্রী দত্ত
নিবন্ধ - শুভ জন্মাষ্টমী লিপিকা দত্ত সরকার
পরিক্রমা - শিব দুহিতা নর্মদা ডাঃ অমিত চৌধুরী
বড় গল্প - স্বাধীন দুজনে পত্রালিকা বিশ্বাস
কবিতা - কাকভোরে প্রণব কুমার বসু
ধারাবাহিক উপন্যাস - শিকড় দীপঙ্কর সরকার বোংলাদেশ)
কবিতা - কথকথা অমিত কুমার সাহা
বড় গল্প - তিনকড়ির ঘাট মালা মুখাজী
কবিতা - অশনি সংকেত সিদ্ধার্থ বসু
পৃষ্ঠা ০২
পৃষ্ঠা ০৮
পৃষ্ঠা ১৪
পৃষ্ঠা ২৩
পৃষ্ঠা ২৪
পৃষ্ঠা ৩০
পৃষ্ঠা ৩২
গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
কলম হাতে
ধারাবাহিক গল্প - শেষ রাতের... স্বাগতা পাঠক
বড় গল্প - বিশ্বাসের কানা... জালাল উদ্দিন লক্কর শাহীন (বাংলাদেশ)
কবিতা - জীবন-স্বপ্ন সামিমা খাতুন
কবিতা - যাত্রাপথ রিয়া মিত্র
শিশু সাহিত্য - সৈকতের সততা শামসুদ্দীন শিশির বাংলাদেশ)
কবিতা - প্রিয়তমাসু প্রশান্তকুমার চট্টোপাধ্যায় (পি. কে.)
ধারাবাহিক উপন্যাস - চার খাতু... রাজন্রী দত্ত (নীলাঞ্জনা)
ছোট গল্প _ গল্পে গল্পে বহে বেলা হাজেরা বেগম (বাংলাদেশ)
গৌতম বোস
গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
পৃষ্ঠা ৪০
পৃষ্ঠা ৫০
পৃষ্ঠা ৫৮
পৃষ্ঠা ৫৯
পৃষ্ঠা ৬০
পৃষ্ঠা ৬২
পৃষ্ঠা ৬৪
পৃষ্ঠা ৬৮
জানতে আগ্রহী । ই-মেলঃ
001709000217001111)105171911.0017
৫
শি
প্রার্থনা সুভ জন্মান্টমী
- বসুদেব-পুত্র শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় কংসের বি ও | রঃ
কৃতকর্ম তৈরি করে।
এই জগৎ সংসার একজন মানুষকে তাঁর কৃতকর্মের জন্য সম্মানশ্রদ্ধা বা অসম্মান-অশ্রদ্ধা করে চিরকাল। আমরা সব কিছুতেই ভাগ্যের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যেতে চাই। কিন্তু ভাগ্য কোন বস্তু বা ব্যক্তি বিশেষ নয়॥ ভাগ্য তৈরি হয় প্রারন্ধ ও পুরুষাকারের উপর নির্ভর করে। তাই কি ভাবে এই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাব, তা অর্ধেকটা আমরা নিজেরা অবশ্যই তৈরি করি, বাকি অর্ধেক প্রারন্ধের উপর নির্ভরশীল।
প্রতিদিন যে দেবশিশুরা জন্ম গ্রহণ করছে এই জগৎ সংসারে, তাদের কথা আমরা কতটুকু ভাবি নিজের মনে করে?
+ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
প্রার্থনা
সব সময় তো নিজের নিয়েই ব্স্ত। সব সময় ভাবনা... নয়._ তিনি তার প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যে আছেন সত্য স্বরূপ রূপে। তাই প্রতিটি প্রাণকে সম্মান করা ও এই পৃথিবীকে সকলের বাস যোগ্য করাই. প্রকৃত পূজা-সাধনা-তপস্যা- উপাসনা-আরাধনা। ৃ প্রত্যেকের কাছেই নিজের নিজের ৃ নল বা পাখি যাই সজল সে প্রত্যেকের
িশ্রগতের প্রতিটি গ্রামকে” রতি দেবশিখুঁ আমাদের অন্তরের পবিত্র ভালোবাসা জানাই, জানাই শ্রদ্ধা। এই জগৎকে নিজের নিজের সাধ্য মতো নিজের শুভ চিন্তা ও পবিত্র কর্মের মধ্যে দিয়ে সকলের বাস যোগ্য গোকুল তৈরি করি এসো _ যেখানে থাকবে অমৃত ন্নেহের সুধা ও অপার শান্তি। তবেই প্রতিটি শুভ অনুষ্ঠান প্রকৃত পক্ষে পালন করা সার্থক হবে । একা স্বীয় সুখও ভোগ করা যায় না কখনও ।
শুভ জন্মাষ্ঠমী। সর্বশক্তিমান জগতের সকলের মঙ্গল করুন এই প্রার্থনা করছি হৃদয়ের গভীর থেকে আজ পবিত্র দিনে ।
শান্তির সাথে সুস্থ থেকো বন্ধু।
গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০ | ৭
_নমামি দেবী নর্মদে
শিব দুহিতা নর্মদা ডাঃ অমিত চৌধুরী দ্বিতীয় পর্যায় (২)
তে কাল থেকে প্রায় ষোলো কিলোমিটার হাঁটা হয়ে ্র গেছে, খুব যে কষ্ট হচ্ছে তা নয়, তবে একটু বসতে পারলে ভাল হত । আমরা যে গ্রামের মধ্যে
দিয়ে যাচ্ছি, গ্রামটির নাম কারিপুন। রাস্তার পাশের একটি বাড়ির থেকে একজন মধ্যবয়সি লোক সবিনয়ে আমাদের চা খাওয়ার জন্য ডাকল । ওরা কবির সম্প্রদায়ের লোক, যে বি এয এক্ঘলে। ক্লে
_ নমামি দেবী নর্মদে
পরে আপাত সমতল একটি জায়গায় এলাম। একটি স্কুলে বাচ্চাদের ক্লাস হচ্ছে। দ্রজন শিক্ষক বাইরে বসে ছিলেন। টিউবওয়েল আছে দেখে জলের জন্য এগিয়ে গেলাম, ওরা আমাদের সাদরে বসার জায়গা দিলেন। হাত মুখ ধুয়ে, জল খেয়ে যখন আমরা ওঠবার কথা ভাবছি, তখন ওই শিক্ষকরা আমাদের মিড-ডে মিল খেয়ে যেতে অনুরোধ করলেন। আমাদের সঙ্কোচ হচ্ছিল। কিন্তু দিব্যানন্দজী রাজী হয়ে গেলেন এবং আমাদেরও খেয়ে নিতে বললেন। তখন দুপুর আড়াইটে। অনন্যপায় হয়ে রাজী হলাম।
মিড-ডে মিল খেয়ে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়ে আবার চলতে শুরু করলাম। তারপর গোরক্ষপুর নামের একটি শহরে এলাম। আগেও একটি রক্ষপুর পেয়ে ছলাম। আসলে গোরক্ষনাথ যে যে জায়গায়
_ নমামি দেবী নর্মদে
হলেও আমি খাব না জানিয়ে দিলাম। প্রায় নন্টার সময় মেয়েটি আবার এসে ওদের খাবার দিয়ে গেল, এবং আমাকে সবিনয়ে অনুরোধ করতে থাকল অন্তত কিছু খাওয়ার জন্য। মেয়েটির নিষ্পাপ ব্যবহারে ওর বাবার ব্যবহার ভুলে খেতে রাজি হলাম। আমার জন্য দুধ আর মিষ্টি এনে বসে থেকে খাইয়ে গেল। শুনলাম মেয়েটি বি- টেক পড়ছে।
আজ বৃহস্পতিবার ২৫/২/১৬ ভোর পাঁচটায় চলা শুরু করেছি, সূর্য তখনো ওঠেনি, তাই টর্চের আলো জ্বেলে গম খেতের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলেছি। ফলন খুব ভালই হয়েছে। শুধু কাটার অপেক্ষায়। হঠাৎ পেছন থেকে একজন কার করে, বলইয়, “মহারাজ রুকিয়ে।
_নমামি দেবী নর্মদে এগিয়ে চললাম। প্রায় আঠারো কিলোমিটার হেঁটে বর্গি
ড্যামে এলাম, তখন প্রায় বেলা বারোটা। এই দিকটায় প্রচণ্ড আদ্রতা, নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। সাথে সূর্যের তেজে শরীর ঝলসে যাচ্ছে, আর হাঁটা যাচ্ছে না কিন্তু বসাও যাচ্ছে না। রাস্তার কাজ হচ্ছে তাই খুব নো পরিবেশ। আরও তিন কিলোমিটার গেলে আমরা আশ্রয় পাবো শুনে আশ্বস্ত হলাম। এবারে কিছুটা চড়াই রাস্তা, এসে পৌঁছালাম একটি গণেশ মন্দিরে । মহারাজ সত্যানন্দজী আমাদের অবস্থা দেখে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তাড়াতাড়ি বিশ্রামের জন্য ঘর খুলে দিলেন। কাকাজী খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁর জন্য ওষুধ দিলেন। দুটোর সময় 1.১ ০২১-8888 কু
নমামি দেবী নর্মদে
তুলনায় একটু আরামেই ঘুম হবে। রাত কত হবে জানি না, চমকে উঠলাম গিরিধারি মহারাজের ধাক্কা । উনি আমাকে টেনে বাইরে নিয়ে গেলেন এবং এমন কিছু পরামর্শ দিলেন যা আমার সারা জীবনের পাথেয়। পরিক্রমার পথে এই সমস্ত সাধু মহারাজদের সংস্পর্শ সারা জীবনের সম্পদ হয়ে থাকবে। কখন ভোর হয়ে গেছে জানিনা । প্রাত্যহিক কাজের জন্য কাকাজী ও দিব্যানন্দজী উঠে এসেছেন। তাই মহারাজ প্রসঙ্গ পালটে আমাদের খুশি মনে যাওয়ার অনুমতি দিলেন।
রাত্রে মন্ত্রমুগ্ধের মত গিরিধারি মহারাজের সাথে বাইরে এসে যে সম্পদ আমি পেলাম তা সত্যই অমূল্য। মহারাজ বললেন, “বেটা তোমাকে যা বললাম কিসি কো মাত বোলনা। এতে তোমার প্রারন্ধ ক্ষয় হবে এবং কর্মনাশ হবে।” আমি বলে উঠলাম, “না মহারাজ কাউকে কিছু বলব না।” কাকাজী পাশ থেকে বলে উঠলেন, “কি বলবেন না ডাক্তারবাবু?” বাস্তবে ফিরে এলাম, কাল রাত্রের ঘটনা ভাবতে ভাবতে অনেকটা পথ চলে এসেছি।
নর্মদে হর। ক্রমশ সি
আগনি কি আপনার কোম্পানির উৎপন্ন পণ্যের বা পরিসেবার কথা সকইকে জানাতে চান? ৪জন, আপনাকে এ ব)শারে সাহায্য করাত পার...
সেলকফোনঃ +৯১ ৯২৮৪০ ৭৬৫৯০
ই-মেলঃ ০০76900091)00117))0)871911.007া ১২ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
1000105://৬1৬/%.811182,010.10/510/001- 150175/8194223695/16175010-0100-75/-1700916-077288001701
10107-19৬
ঠিকানাঃ আদি নাথ ব্রাদার্স, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট কলকাতা - ৭০০০৭৩ গু দূরভাষঃ +৯১ ৩৩ ২২৪১ ৯১৮৩
এইতো চাই
স্বাধীন দুজনে পত্রালিকা বিশ্বাস
কালে রান্নাঘরে মাংসটা কষাতে কষাতেই রাহির দিকে চোখ চলে যায় মূন্ময়ী দেবীর, আর মনে মনে ভাবেন, কদিন ধরেই মেয়েটার মুখটা থমথমে হয়ে আছে, কে জানে কি হলো, এরকম চুপচাপ তো থাকেনা । বরং ওর একের পর এক গল্পে রান্নাঘরেই বেশ একটা জমজমাট আসর বসে যায় রোজ। দিন তিনেক ধরেই খেয়াল করছেন মৃন্য়ী দেবী, রাতেও ওদের ঘর থেকে বেশ জোরেই কথা কাটাকাটির আওয়াজ ভেসে আসে, তবে পাখার শব্দের সাথে মিশে গিয়ে কথাগুলো ঠিক পরিষ্কার বোঝা যায়না । আজও রাহিকে একইরকম থম কদিন ধরেই দেখছি তুই খুব চুপচাপ? কিছু হয়েছে তোর? শরীর টরীর খারাপ না তো?” রাহি - কই না তো মা। কিছু হয়নি তো। মূন্ময়ী দেবী - তুই তো এমন চুপচাপ থাকিস না। কি রাহি - কিচ্ছু হয়নি মা। তুমি মিছিমিছি চিন্তা করছো। মৃন্ময়ী দেবী _ আচ্ছা বুঝলাম তোর কিচ্ছু হয়নি।
১৪ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
এইতো চাই
কথা বলে, তোদের মধ্যে কি কোন ঝগড়া হয়েছে নাকি রে? রাহি - না না মা ঝগড়া না, ওই তোমার ছেলে একটা অফিসের ফাইল খুঁজে পাচ্ছিলনা, আমিই গুছিয়ে রেখে ভুলে গেছিলাম কোথায় রেখেছি। সেটা নিয়েই তোমার ছেলে একটু রেগে গেছিলো আর কি।
মূন্ময়ী দেবী - তারপর পেয়েছিস সেই ফাইল?
রাহি - হ্যাঁ কালই তো আলমারি গোছাতে গিয়ে পেলাম। আচ্ছা মা আমি একট্র ওপরে গেলাম, জামাকাপড় পড়ে আছে অনেক, ভাঁজ করে আলমারিতে তুলতে হবে। মূন্য়ী দেবী যেন রাহির মুখ থেকে পাওয়া উত্তরগুলো শুনেও খুব একটা স্বস্তি পেলেন না, তার কেন জানিনা মনে হচ্ছে রাহি সত্যি কথাটা চেপে গেলো। সকাল গেলে, দুপুরে ছেড়ে উঠে কি মনে করে ছাদের সিড়ি দিয়ে কয়েক পা উঠতেই নজরে পড়ে রাহি একটা গোলাপের টবের পাশটায় বসে কি যেন ভাবছে আর গুনগুন করে গেয়ে যাচ্ছে, "এই কথাটি মনে রেখো, তোমাদের এই হাসিখেলায় আমি যে গান গেয়েছিলেম/ জীর্ণ পাতা ঝরার বেলায় ॥ গানটা শেষ হতে হতেই দুচোখ বেয়ে জলের ধারা নেমে দেখলেন মৃন্ময়ী দেবী, আর তারপর আস্তে আস্তে রাহির
গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০ ১৫
এইতো চাই
পাশে এসে দাঁড়ালেন। রাহি তখনও আপনমনে তাকিয়ে আছে ফুলগাছটার দিকে। মৃন্ময়ী দেবী রাহির কাঁধে একটা হাত রেখে বললেন, “কি হয়েছে আমায় বলবিনা?”
রাহি চমকে উঠে শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখটা মুছে ঘুরে তাকিয়ে বলল, “কই মা কিচ্ছু হয়নি তো। ওই মাঝেমাঝো দক্ষিণের ফুরফুরে হাওয়া চোখে এসে লাগছে তো...”
মৃন্ময়ী দেবী - আর কত আড়াল করবি আমায় রাহি? আমি তোর নিজের মা হলে কি লুকিয়ে রাখতিস কথা এমন করে?
রাহি এবার নিজেকে আর সামলাতে পারেনা, মৃন্ময়ী দেবীর হাতটা ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। মৃন্ময়ী দেবী তখনও ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন আর বলছেন, “বল রাহি। কি হয়েছে তোর?” জন্য ইনভিটেশন দিয়েছে মা।
মূন্ময়ী দেবী - বাহ্। এতো খুব ভালো খবর। কবে তোদের রিইউনিয়ন? কিন্তু, তার জন্য তো তোর মনখারাপ হওয়ার কথা নয়।
রাহি - এইতো সেপ্টেম্বরের দশ তারিখে... মা, নিলয় একদম চাইছেনা যে আমি গান করি কলেজে ।
মূন্ময়ী দেবী - কেন? কি অসুবিধা? নিজের কলেজের অনুষ্ঠানে গান করবি, এতে নিলয়ের আপত্তির কোন কারন তো আমি খুঁজে পাচ্ছিনা । আর রাহি তোকে তো এখন আর
১৬ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
এইতো চাই
গান করতেও দেখিনা । বিয়ের পর পর কয়েক মাস রেওয়াজ করতে দেখতাম, এখন তো আর দেখিনা!
রাহি - মা, তোমার ছেলে চায়না আমি আর গানটা কন্টিনিউ করি। তাই আর বসিনা রেওয়াজে।
মূন্ময়ী দেবী - পুজোর ফাংশনে তোর গান শুনেই তো তোকে পছন্দ করেছিলো নিলয়। এখন না চাওয়ার কি হলো? আর তুই ওর কথা শুনে গানটা বন্ধ করে দিলি? তোর অত সুন্দর গানের গলা! সবার এমন প্রতিভা থাকেনা রাহি। এমন হেলায় হারিয়ে ফেলিস না তোর স্বপ্ন... আচ্ছা দাঁড়া আমি কথা বলবো নিলয়ের সাথে।
রাহি - মা, তুমি কিচ্ছু বলবেনা। তাহলে আবার অশান্তি হবে। আমার আর এত অশান্তি ভালো লাগেনা । নিলয় আমায় পরিষ্কার বলেছে মা, এসব ফাংশান টাংশান এই বাড়িতে থেকে চলবেনা । এই বাড়ির একটা সম্মান আছে, বাড়ির বউ স্টেজে উঠে গান করলে মান সম্মান থাকবেনা। নিলয়ের এসব ভালো লাগেনা মা।
মৃন্ময়ী দেবী - ভালো লাগেনা যখন তো তোর গানের হয়েছে একদম বাপের মত। তোর বাবাও আমার শ্রুতি নাটক শুনে আমায় পছন্দ করেছিলো, বিয়ের আগে কত কথা। তুমি নাটক করবে, কবিতা বলবে, আমি নিয়ে যাবো তোমায়
গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০ ১৭
এইতো চাই
অনুষ্ঠানে। আর বিয়ের রাত পেরোতেই সে কথা কথাই থেকে গেলো বুঝলি। আমার আর কিচ্ছু করা হলনা । এখন ওই 'সঞ্চয়িতা'ই আমার চিরসঙ্গী। কবিতাগ্তলো নিজে বারবার পড়ি আর মনকে শান্ত করি রবি ঠাকুরের ভাষায়। কথাগুলো বলতে বলতে গলাটা ধরে আসছিল মৃন্ময়ী দেবীর । রাহি বুঝতে পেরেই মায়ের হাতটা ধরে থাকলো কিছুক্ষন, তারপর দুজনেই নিচে এসে যে যার ঘরে চলে গেল।
সেদিন রাতেই ডাইনিং টেবিলে হঠাৎই কথা তোলেন রেওয়াজ না করলে গাইবে কি করে?”
নিলয় - রাহি তোমার কাছেও এই নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করেছে বুঝি? বলে, আমি তো যা বলার তোমায় বলে দিয়েছি রাহি। আবার এসব...
নিলয়ের কথাটা আর শেষ করতে দেননা মৃন্ময়ী দেবী, আর রাহিকেও কোন উত্তর দিতে না দিয়েই বলে ওঠেন, দিয়ে গেছিলো নিলয়। আর রাহি আমার সামনে বসেই পড়েছিল চিঠিটা। আমার অবাক লাগছিল কিছুদিন ধরেই চিঠিটা হাতে পাওয়ার পরেও রাহি একবারও গান করতে
১৮ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
এইতো চাই
বসেনা। আর গত তিনদিন রাতের তোর কিছু কথাও আমার কানে এসেছে।”
নিলয় - তুমি কি আজকাল আমার ঘরে আড়ি পাতছো নাকি? মৃন্ময়ী দেবী - মুখ সামলে কথা বলো নিলয়। তুমি যে চিৎকার করে কথা বলছো রোজই সেটা নিশ্যয়ই ভুলে যাওনি। আর প্রথম রাহিকে গান শুনেই তো পছন্দ করেছিলে, তাহলে এখন এসব কেন? এরকম পরিকল্পনা যদি আগে থেকেই তোমার মাথায় ছিল তাহলে রাহিকে বিয়ে না করলেই তো পারতে। মেয়েটার স্বপ্নটা অকালেই ঝরে যেতনা অন্তত। অবশ্য তুমি স্বপ্নের কি বুঝবে? বিয়ে মানে আর কিছু না বোঝো, বৌ-এর ওপর অধিকার বোধ চাপিয়ে দেওয়াটা বেশ বুঝেছো। মেয়েটার যে নিজের একটা জগৎ আছে, স্বাধীনতা আছে সেটা জোর করে বন্ধ না করে দিলে পুরুষমানুষ হয়ে ওঠা যায়না তাইতো?
নিলয় - মা!
মূন্যয়ী দেবী - একসময় তোমার বাবাও আমার নাটক, কবিতার দরজাটা নিজে হাতে বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তুমিও সেই একই পথে। আমার সাথে যা হয়েছে, এই বাচ্চা মেয়েটার সাথে আমি কিছুতেই সেটা হতে দেবনা। নয় রাহিকে নিজের জগৎ নিয়ে বাঁচতে দাও, নইলে ওকে ওর বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে এসো। এর যেকোন একটা পথ তোমায় বেছে নিতে হবে নিলয়।
গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০ ১৯
এইতো চাই
নিলয় - আমাদের বাড়ির একটা মান সম্মান আছে মা। তুমি হয়তো সেটা ভুলে যাচ্ছ।
মন্ময়ী দেবী - বাড়ির বউ বাইরে গান গাইলে যদি মান কোন সম্মান নেই, তবে এমন বাড়ির মেয়ে বিয়ে করতে গেলে কেন তুমি?
আর বিয়ে করে একটা মানুষের যাবতীয় ইচ্ছেকে গলা টিপে মেরে ফেলার মধ্যে ঠিক কতটা সম্মান জড়িয়ে আছে আমার জানা নেই নিলয়, এই স্বপ্নগ্তলো ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার মধ্যে সম্মানের সমীকরণটা তুমি আর তোমার বাবা ভালো বলতে পারবে নিশ্চয়ই।
নিলয় আর তার বাবা সুবিমল বাবু আর বিশেষ কথা বাড়ায় না, দু'জনেই বেশ চুপ করেই কোনমতে খেয়ে উঠে যায় ঘরে।
পরদিন ভোরে নিলয় একটু তাড়াতাড়ি উঠে রাহিকে ডেকে দেয়, রাহি উঠতেই বলে, “নাও ফ্রেশ হয়ে রেওয়াজ করতে বসে যাও। অনুষ্ঠানের আর কিন্তু বেশি দিন নেই। তবে তোমার কাছে আজ কিছু চাইবো, দেবে আমায়?” হচ্ছে সে আবার ফিরে পেয়েছে সেই ভালোবাসার মানুষটাকে... তার চোখের দিকে তাকিয়েই সে বলে, “বলো কি চাই তোমার?”
নিলয় - তুমি এখন থেকে রোজ গান গাইবে । আচ্ছা মাকে
২০ গুঞ্জন _- অগাস্ট ২০২০
এইতো চাই
যায়না? কাল জানো প্রথম মায়ের গলায় এত ঝাঁঝ দেখলাম, কিন্তু মনে হলো ওই ঝাঁঝের আড়ালে অনেক কষ্ট থেকে কথাগ্তলো বললো... দেখোনা একবার চেষ্টা করে, পারবে? রাহি তখন আর কথা না বাড়িয়ে রেওয়াজে বসে যায়। বলেন, “কি রে গানগুলো প্র্যাক্টিস করছিস তো? ইস যদি তোর রিইউনিয়নে যেতে পারতাম! কি ভালো হতো বলতো?” রাহি - আমি রিইউনিয়নে যাবো, কিন্তু একটা শর্ত আছে আমার । তোমাকেও আবার কবিতা, নাটক করতে হবে। মৃন্ময়ী দেবী - সে আর হয়না রাহি। আমার বয়স কত হয়েছে বলতো! এখন এসব করলে লোকে বলবে বুড়ো বয়সে ভীমরতি। রাহি - মেয়ের জন্য একটু না হয় লোকের কথা শুনলে । মা গ্লিজ। আমরা দু'জনে মিলে একটা ছোট্ট কিছু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবো। এই সপ্তাহে প্র্যান্টির করবো, পরের সপ্তাহে ভিডিওটা বানাবো। মূন্ময়ী দেবী আবার কবিতা বলবেন ভেবেই ওনার দুচোখ জলে চিকচিক করছে। সেই সপ্তাহে দুজনেই জোরকদমে প্র্যাকটিস করে গেলেন। আর তারপর সেইদিন মোবাইলের ভিডিও অন হয়েছে সবে। মুন্ময়ী দেবীর কণ্ঠে, বর্ষার দিনে চারদিক কেমন যেন মনমরা হয়ে পড়ে। রবি ঠাকুর তাঁর "অপেক্ষা" কবিতায় মনের সেই স্থবিরতার কথাই বলেছেন, "মেঘেতে দিন জড়ায়ে থাকে / মিলায়ে থাকে
গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০ ২১
এইতো চাই
মাঠে, / পড়িয়া থাকে তরুর শিরে, / কাঁপিতে থাকে নদীর নীরে / দাঁড়ায়ে থেকে দীর্ঘ ছায়া / মেলিয়া ঘাটে বাটে ।" আর ঠিক তখনই রাহি গান গেয়ে ওঠে, " আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে / জানি নে, জানি নে কিছুতে কেন যেমন লাগে না॥!
ওদের শাশুড়ি আর বৌমার ভিডিও দুদিনেই ভাইরাল হয়ে গেলো সোশ্যাল মিডিয়ায়, দুজনেই ভীষন খুশি, একের পর এক ভিডিও তৈরির জন্য দুজনেই সমান তালে রেওয়াজে মেতেছে। আজও দুজনেই ছাদে দাঁড়িয়ে কবিতা আর গানের ছন্দে ডুব দিয়েছে, আকাশে ছড়িয়ে গেছে ওদের কণ্ঠস্বর, মৃন্ময়ী দেবী আর রাহি যেন স্বাধীন হয়েছে আজ, কাছের মানুষগুলোর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া স্বাধীনতার ঘ্বান নিচ্ছে প্রাণভরে, আর এসবের মধ্যেই মৃন্ময়ী দেবীর দিকে একভাবে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে রাহি। আর রাহিকে অমন অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতে দেখে মৃন্ময়ী রাহি - ভাবছি ভাগ্যিস তোমার মত এমন শাশুড়ি পেয়েছিলাম আমি । আমি চাই সব মেয়েই যেন এমন শাশুড়ি পায় জীবনে । নর
বিশেষ ঘোষণা গুঞ্জনে প্রতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যস্তই পরের (মাসের)
সংখ্যার জন্য লেখা গ্রহণ করা হয়। ২২ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
কাকভোরে প্রণব কুমার বসু
গেলি কোথায় ধেয়ে? মনপসন্দ খাবার পেলেই উঠিস জোরে গেয়ে...
তোর তো দেখি ল্যাজটা মোটা গোঁফটাও কি আছে?
ছুট্রে পালাস কাছে গেলেই ধরি আমি পাছে।
দেওয়াল বেয়ে ওপর থেকে নীচে নামিস পায়ে, দূরের থেকে দেখে আমার চমক লাগে গায়ে।
ছোট্ট মুখে কতটুকুই বা খেতে পারিস তুই? ভাবতে ভাবতে আমি আমার বিছানাতেই শুই।।
গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০ ২৩
উৎস
শিকড় (গাঁ গেরামের গঞ্সো)
(১ম পর্ব) দীপঙ্কর সরকার (বাংলাদেশ)
মি সুদীপ্ত সরকার। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর
উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম জগন্নাথপুরে
থাকি। এই গ্রামে দিনের প্রথম আলোয় ডাক ধানক্ষেতে ঢেউ খেলে যায় দখিণা বাতাসে, সন্ধ্যা নামতেই পল্লীগ্রামে কোলাহল থেমে যায়; থেমে যায় জীবনের স্পন্দন। দিনে যারা নিশ্চুপ থাকে রাতে তারাই জাগ্রতচিত্তে জেগে ওঠে। জোনাকির আলো আর বিঁ বি পোকার ডাক হাটুরেকে ঠিক গন্তব্যে ফিরিয়ে আনে। পড়াশুনার সুবাদে আমি :. রাজশাহীতে থাকি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে প্রড়ি। লেখালেখি করা একরকম;অভ্যাস, হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার কাছে লেখা প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম বলতে গেলে ফেসবুক। রোজ .কোন না” কোন. লেখা. ফেসবুকে-:পোস্ট:.করি। এছাড়াও, বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে +পোস্ট.রুরে আমার সময়.বেশ ভালোই: কাটে। গ্রুপ থেকে বন্ধুও জুটে যায়; বন্ধু বলতে ফেসবুক ফ্রেন্ড আরকি! জীবন.-এই,.একটি: কারণে. আমার-কাছে. রহস্যময় মনে হয়, তা হলো: মানুষের সঙ্গে মানুষের পরিচয়। একটি 'জীবন
২৪ গুঞ্জন _ অগাস্ট ২০২০
উৎস
যেতে পারে, তা ভাবলে অবাক হতে হয়। দেখা হওয়ারও কত রকমফের হয়। চেনা নেই, জানা নেই, বাসে দুম করে একজনের সঙ্গে পরিচয় হলো; সেই পরিচয় রয়ে গেল আজীবন কিংবা কোন এক বাসস্টপ থেকে প্রথম দেখা; প্রথম শিহরণ। সেই শিহরণের ইতি ঘটলো ছাদনাতলায়। নতুন সম্পর্কের সুত্রপাত ঘটলো; নতুনভাবে পরিচয় ঘটলো এক জীবনের সঙ্গে অপর এক জীবনের; বাঁধা পড়লো সাত পাকে। তেমনি আমারও পরিচয় ঘটেছিল এক গল্পদাদুর সামনাসামনি ধাক্কা খেয়ে নয়, আত্মীয়তার সুবাদে নয়; আমাদের পরিচয় হয়েছিলো ফেসবুকে।
এভাবেও পরিচয় হয়; এভাবেও একজন মানুষের সঙ্গে দোলাচলে খেলে যাওয়া রহস্যের কণাটুকু ভেদ করতে পারিনা। সাগরের অতল..তলে হাজার মাছের খনিতে ছিপ ফেলে মাছ মারবার মতো অবস্থাকে ফেসবুকের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। পৃথিবীতে হাজার মানুষের খনির মধ্যে ছিপ ফেলে:একটি. মানুষ খুঁজে-পাওয়ার আনন্দ আর্কিমিডিসের ইউরেকা'।ইউরেকা' বলার .আনন্দের চেয়ে কম কিছুনা ।
একদিন "গল্পের সন্ধানে! নামক এক ফেসবুক. গ্রুপে একটি গল্প পোস্ট:করে বেশ সাড়া পেলাম; সেখানে গুঞ্জন _. অগাস্ট. ২০২০ ২৫
উৎস
শ'খানেক কমেন্টও পড়লো। একজনের কমেন্ট দেখে চোখ আটকে গেল। অবশ্য মন্তব্যটি আহামরি কিছু ছিল না _ কিন্ত তার একটা আলাদা মানে ছিল। দাদু মারা যাবার পর থেকে তার একটি কথা আমার সবসময় মনে পড়ে। দাদু সবসময়ই বলতেন, “কৃপমণ্ুক হয়ে থাকবে না; জগৎ চিনতে হলে বাইরে বেরুতেই হবে।”
ভদ্রলোকের মন্তব্যটি ছিল এরকম - “জ্ঞান তৃষ্ত্রায় বেড়িয়ে পড়ো; কুপমণ্ডুক হইও না।” কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম, “আমার দাদুও সবসময় বলতেন, কৃপমগ্ডুক হবি না; আপনার কথার সঙ্গে আমার দাদুর কথা মিলে গেল।” উনি আবার রিপ্লাই দিলেন, “আজ থেকে আমরা দাদু-নাতি হয়ে গেলাম।!
সেই থেকে আমরা একে অপরের সঙ্গে দাদু নাতির সম্পর্কে জড়িয়ে গেলাম। রক্তের সম্পর্ক না; দেখা হয়নি, চেনা হয়নি, কেবল পরস্পরকে জেনেছি একটু আধটু কিন্ত পূর্ণ ভরসা ছিল বলে কখনো. অপর কেউ মনে" হয়নি। তিনিও.আমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে শুরু করলেন; এমন বিশ্বীসী যে কোন সংকোচ ছাড়া..তিনি অনায়সে বাংলাদেশে আসতে পাবেন।
এবার ভদ্রলোকের অঙ্গে -পরিচিত হওয়া যাক। -ওনার নাম পিনারী রঞ্জন, বিশ্বাসওরফেগল্পদাদু।আমি-পিনু দাদু বলেই ডাকি।. তিনি. আমাকে ব্দীপুদা লে ডাকেন। বেশ রসিক মানুষ। কথা বলতে গেলে সর্বদাই ওনার রসবোধ উপলব্ধি
২৬ গুঞ্জন _. অগাস্ট. ২০২০
উৎস
করা যায়। গল্প জমলে রসের অন্তরালের মানুষটি স্বমহিমায় বেরিয়ে আসেন।
বর্তমান নিবাস দক্ষিণ-প্রশ্চিম কোলকাতার ঠাকুরপুকুরে। অবশ্য আদি বাড়ি বাংলাদেশে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাবার হাত ধরে একজন শরণার্থী হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। তখন ওনার বয়স আর কত হবে চার কিংবা পাঁচ। কর্মসূত্রে উনি ছিলেন একজন টুরিস্ট গাইড। নিজেই একটি টুরিস্ট এজেলি খুলেছিলেন। ফলে, সারাক্ষণ সেই এজেন্সি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। একজন গাইড হিসেবে ভারতীয় ইতিহাস স্থাপত্যকলার আদি ইতিহাস তাঁর নখদর্পণে ।
অসম্ভব ছুটতে পারতেন। সকালে কাশ্মীরে ব্েকফাস্ট তো লাঞ্চ তো গুজরাটে ডিনার। এমনি করেই সারা ভারতের পেশার সুবাদে। এক নিরন্তর ছুটে চলা জীবন;.. জীবিকার তাগিদে দিকিদিক ছুটে. চলা। চলমান পৃথিবীর সঙ্গে চলমান গল্পদাদু যেন. একই সুতোয় গাথা।
এজেন্সি. এবং একজন গাইড হিসেবে পেশা নির্বাচন:করায় সারা বছরে অবসর মেলে না বললেই: চলে। উল্টে যখন ভদ্রসমাজে ছুটি: পড়তো-তখন তার নিজের ব্যস্ততা আরও দ্বিগুণ বাড়তো। খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত পরিচিত হতেন কখনো বা নিজেই ইচ্ছে
গুঞ্জন. _. অগাস্ট. ২০২০ ২৭
উৎস
করে কিছু স্থান দেখতে গিয়েছিলেন; বেড়াতে নয় স্রেফ আবিষ্কার করতে। উদ্দেশ্য এই স্পটগ্লোতে মানুষকে ঘুরিয়ে আনা যায় কিনা তা বোঝা। তাই কখনও ৪৮/৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড কখনো মাইনাস ১৩ ডিগ্রীতে বাস করার অভিজ্ঞতাতেও তাঁর ঝুলি পূর্ণ। তাঁর যে এমন এক বৈচিত্রময় জীবন ছিল, পিনুদাদুর চেহারা দেখে তা বোঝা যায়না। বয়স আচ করা তো যায়ই না। বোঝার উপায় নেই ষাটোর্ধ একজন মানুষের মাঝে কি অফুরন্ত তারুণ্য] মুখটি গৌরবর্ণ; চোখে কী প্রখর দৃষ্টি। একবার তাকলে মনে হয় নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন; ঠোঁটের উপরে কাঁচাপাকা গোঁফটি দাদুকে আরো বিজ্ঞবান হিসেবে প্রমাণে ব্যস্ত, আধপাকা চুলের ছিপছিপে চেহারাটি একটি সুদর্শন অবয়বে প্রস্কুটিত মুখটি সদ্যজাত পদ্মফুলের মতো মনে হয়; পন্মের গোলাপি আভার মতো মুখমণ্ডল স্বয়ং দীপ্তি ছড়ায় আর পদ্মপাতার মতো.সবুজ তার একবার গল্প জুড়ে দিলে কি সকাল কি বিকেল কোন খবর থাকে না! এজেন্সির সকল দায়ভার ছেলের 'হাতে. অর্পণ -করে পিনুদাদু এখন. অনেকটাই; মুক্ত। হাতে এখন অফুরন্ত সময়, টুকটাক লেখালেখিওকরেন।.অজজ্্ অভিজ্ঞতা আর. গল্পের ঝুড়ি,থেকে.ওনার. গল্পের ভান্ডার কখনোই .ফুরায় না। শরণাগত হই। সঙ্গে সঙ্গে একটা না এরটা উপায়মিলে
২৮ গুঞ্জন _ অগাস্ট ২০২০
উৎস
যায়৷ মূলত লেখালেখি নিয়েই বেশি আলাপ হয়; সেখান থেকে ব্যক্তিগত জানাশোনা হতে লাগলো।
একদিন কথা বলতে বলতে জানতে পারলাম আমাদের পিনুদাদুর মাঝে মাঝে মনে হতো জীবনে কি যেন একটা অপূর্ণ থেকে গেল। পুরো ভারতবর্ষ দেখেও বারবার মনে হয় কি যেন একটা দেখা হলো না। ইদানীং গ্রামের কথা ভীষণ মনে পড়ে পিনুদাদুর। কখনো কখনো স্বপ্নে ছুটে যান সেই জগন্নাথপুরে; ঘৃলাই নদীর বাঁকে ছুটে চলেন; হাঁটতে থাকেন মেঠো পথ ধরে; দেশ ত্যাগের পর নবান্ন আর কোনদিন করা হয়নি; একসঙ্গে বসে যাত্রাপালা দেখা হয়না কত কাল! এইসবই এখন খুব ভাবায় দাদুকে। তবে সবচেয়ে বেশি করে বাবার কথা বড্ড মনে পড়ে পিনুদাদুর। বাবা চলে যাওয়ার কয়েকদিন আগে ঘুমের ঘোরে বলতেন,.“কই রে পিনু জালটা নিয়ে আয়তো বাপ; ঘৃূলাইয়ে কি সুন্দর মাছ.আইছে।”
বারার .এই কথাটি 'পিনুদাদু কিছুতেই ভুলতে পারেন, না; “পিনু রে, হামার দেশটা তো যাবার খুব মন চাওছো বাপ; ইসস্ একবার/যদি যাইতে পারতুম; স্বাধীন দ্যাশটাকে.মন ভরি দেখনু -হয়।”/এর্কম আক্ষেপ নিয়ে দীদু তার বারার. চলে যাওয়ার সাক্ষী, হ্য়েছেন।.সেই.থেকে দাদুর বারবার ইচ্ছে করে জীরদ্শায়. অন্তত: একবার: জগন্নাথপুর থেকে ঘ্বুরে আসবেন কিন্তু কিছুতেই সময় করতে পারছিলেন না। ক্রমশ জর
গুঞ্জন _ অগাস্ট. ২০২০ ২৯
কল্পনা
কথকথা
অমিত কুমার সাহা দি পথ পথের খোঁজে হঠাৎ করেই পথ হারায়, যদি কথা গানের টানে সুরের সাথে হাত মেলায়;
যদি চাদ একলা আকাশ যদি মন মনের মাঝে মনের কাছেই আসতে পারে;
তবেই কলম আপন বেগে
পাগল হয়ে চলতে থাকে, অস্ফুট সব কথকথা সুসজ্জিত পাতার ফাকে ।। ছ্ছ
আপনি কি আপনার কোম্পানির উৎপন্ন পণ্যের বা পরিসেবার কথা সবাইকে জানাতে চান? গুঞ্জন আপনাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে... সেলফোনঃ +৯১ ৯২৮৪০ ৭৬৫৯০ রা নািতিলন্না
৩০ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
সবিনয় নিবেদন
“গুঞ্জন” কেমন লাগল তা অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আর (আপনার বিচার অনুযায়ী) এবং অপ্রকাশিত লেখাটি আমাদের ০৫টি তিতা টিনা (৮4508771৮55 01115458558 তাজ কেরা] রিসল্যুশনঃ 300 টা 525-5-401925] অবশ্যই আপনার নিয়মিত উপস্থিতি একান্ত প্রার্থনীয়। তবে লেখা অনুমোদনের ব্যাপারে বিচারক মণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।
অভভুতু্ে টুর ঘাট মালা মুখাজী
গার ধারে অনেকটা জায়গা নিয়ে রাণী-রাজ্যেশ্বরী
মহাবিদ্যালয়, এই জেলা-শহরের একমাত্র ইভনিং
কলেজ, তনিষ্টার কলেজ। বাবা থাকলে অবশ্য ও ডে-সেকশনেই ভর্তি হত, কিন্তু সকালে যে বুটিকের দোকানটা খুলতে হয়, ওটাই ওদের মা-মেয়ের রুজি-রোটি যোগায়। যাকগে সবার সব কিছু হয় না। দুপুরবেলা বইয়ের ব্যাগটা গোছাতে গোছাতে ভাবছিল তন্িষ্ঠা, হঠাৎ মায়ের গলা শুনতে পেল, “আজ তাড়াতাড়ি যাচ্ছিস যে?”
তন্নিষ্ঠা_উত্তর দিল, “হ্যাঁ, আসলে কি জানো তো ওই
গঙ্গার ঘাটের রাস্তা দিয়ে গেলে হেঁটেই যাওয়া যায়, আর বিকেলে ওপথে যাওয়া যায় না, তাই...” কথাটা সত্যি, গঙ্গার ধারের পুরানো রাজবাড়ীর বিল্ডিংয়ে সকাল সন্ধ্যে কলেজ বসে, কিন্তু লাগোয়া ঘাটটি যাকে সকলে তিনকড়ির ঘাট বা পুরানো শ্মশান বলে তার দিকে চাইবার ক্ষমতা বোধহয় সূর্যাস্তের পর কারোরই নেই। কথিত আছে, কোনো এক রাজবধূর গুপ্ত প্রেমিক সন্াসীর ছদ্মবেশে ওই শ্বশানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। প্রেমিকাকে নিয়ে পলায়নের মুহুর্তে রাজাবাহাদুরের গুলিতে প্রাণ বিসর্জন দেন তিনি, মরার আগে সেই প্রেমিকও রাজাকে গুলিবিদ্ধ করেন। রাজবধুটি ৩২ গুঞ্জন _ অগাস্ট ২০২০
অভ্ভুঙ্ে
গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। সেই যুবকের নামেই পুরানো শ্রাশান ঘাটকে লোকে তিনকড়ির ঘাট বলে। কলেজে যাওয়ার শর্টকাট রাস্তা এই শ্মশানের গা ঘেষে, আর ঘুরপথ হলো বড়রাস্তা, রাতে ও পথেই তনিষ্টাকে ফিরতে হয় বাসে করে।
“আজ যাওয়াটা জরুরি?” মায়ের গলার স্বরে চাপা উদ্বেগ । কালকের ঘটনাটা মাকে না জানালেও কেমন করে যেন মা জেনে গেছেন।
“আঃ মা, কয়েকটা ছেলে কি বলেছে তার জন্য কলেজ যাবো না? ইকনমেট্রিক্সের ক্লাস আছে।” তন্িষ্ঠা কাল বিকেলের ঘটনাটা ভুলতে চায়। কলেজ থেকে ফেরার সময় ও বড়ো রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল, যদি ভাগ্যক্রমে বাস বা রিক্সা পাওয়া যায়, ঠিক তখনই একদল বাইক আরোহী ছেলে কিছু ইঙ্গিতবাহী টিপ্লনি ছুঁড়ে বেরিয়ে গেল।
এমনটা দিন কয়েক ধরেই হচ্ছে, তনিষ্ঠা পান্তা দেয়নি, কাল তো একজন ওড়না ছোঁওয়ারও চেষ্টা করেছে। ও জানে এ বাইকবাহিনী কার... ভিকি, এই পাড়ার গুপ্তা। এরা যে মেয়েকে একবার টার্গেট করে তাকে শেষ পর্যন্ত সারেপ্তার করতেই হয়। আর তারপর... কারোর লাশ পাওয়া যায়, কারো সেটাও পাওয়া যায় না। কথাটা বোধহয় হাওয়ায় ভেসে মায়ের কানে গেছে। তবে ভয়ে গুটিয়ে থাকলে তো চলবে না, তাই অনিষ্ঠা মায়ের ভয়কে উপেক্ষা করেই বেরিয়ে এল।
গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০ ৩৩
অভ্ভুঙ্ে
ক্লাস শেষ হতে দেরী হলো। ইভনিং কলেজে মেয়ে বিশেষ নেই, তাই একসাথে ফেরার প্রশ্নই নেই। ও বাসের ভরসায় না থেকে রিক্সা ডাকতে যাবে তখনই চোখে পড়ল দামী একটা গাড়ী ওর দিকেই আসছে। তনিষ্টা বিপদের গন্ধ পেয়ে কলেজের পাশের গলিতে ঢুকে পড়ল। ওর অনুমান সত্য, ভিকি আর তার তিনজন বন্ধু ওকেই খুজছে। ওরা নিশ্চিত বাস স্ট্যাণ্ডে তনিষ্ঠা ছিলই।
“গুরু, ওই গলিটা দেখবে না?” ভিকির সঙ্গীর কথা শুনে তন্নিষ্ঠা ভুল করে বসল। হুড়মুড়িয়ে দিক-বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে অন্ধকার গলিতে ছুটতে লাগল। ভিকি গলিটায় ঢুকতে যেতেই-ওর আর এক সঙ্গী বলে উঠল, “ওই ভুতুড়ে শ্শান ঘাটটা ওদিকেই না?”
তন্িষ্ঠাও যে কথাটা জানে না তা নয়। তবে এ মুনুর্তে মানুষের চেয়ে পরিত্যক্ত শ্বশান নিরাপদ মনে হলো। অনেকটা দৌড়নোর পর তন্িষ্ঠার মুখে গঙ্গার ঠাণ্ডা হাওয়া লাগতেই ও. নিজেকে শ্াশান ঘাটে আবিষ্কার করল । কথিত আছে তিনকড়ির আত্মা আজও এখানে জাগ্রত, তাই সন্ধ্যের পর, বিশেষত অমাবস্যার রাতে কেউ এ চত্বর মাড়ায় না। হয়তো ভিকির দলও মাড়াবে না, তন্িষ্ঠা আকাশের দিকে তাকলো। নির্মেঘ আকাশে চাঁদ নেই, আজ কি অমাবস্যা? তবে বিষয়টা অত সহজ হলো না, খুব শিগগিরি ও বুঝলো গুপ্তারা ভূতের ভয় পায় না। ভিকি
৩৪ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
অভ্ভুঙ্ে
ও তার চর বন্ধুরা আসছে গা ঢেলে | | পরম, ্ ২ রি নী রি যম ভয়ে তাকালো, পরিত্যক্ত রে - আছে। গাছ, শে গা এ এ গা ও ১৯১ রি এ রে রা গাছের , তাহলে ৃ রী ও রঃ দেখতে € শু (8৮. এ হোমকু ক টা দা মাটি, ই বা রর বি এল। 1১৬. রং এ রে ২২ ৰ লী দে য় শরণ রে কে : ২:33: ডে ৪৪৩ মা চট : এক সে রঃ টি সা ওর | বেরোলো তিনুদা আর টির এ হু রয়ে এল 3 রী । তনিষ্ঠা অন্য স্বর
গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০ ৩৫
অভ্ভুঙ্ে
তনিষ্ঠা এমনভাবে ওনার কথা শুনছে যেন ও ওনাকে চেনে। দামী শাড়ি-গয়না ওর গায়ে!
“চলো চন্দ্রা, আমি তোমায় নতুন করে বাঁচার আশা দেব...” তনিষ্ঠা বলল, “তোমার চন্দ্রা আজ রাণী চন্দ্রাবতী,” তনিষ্ঠার গলায় এক অচেনা অভিমান, “তুমি যদি আমায় বিয়ে করতে
“চন্দ্রা, আমি কায়েতের ছেলে, তুমি বামুনের মেয়ে। সামাজিক বিয়ে হতো না...”
চন্দ্রাবতীকে এক প্রকার জোর করেই কোটর থেকে বার করে আনল তিনকড়ি, “টাকার যোগাড় করেছি, ওই দেখ ঘাটে নৌকো বাঁধা...”
চন্দ্রাবতী নিঃসঙ্কোচে তিনকড়ির সাথে নৌকার দিকে পা বাড়াতেই ভিকির গলার আওয়াজ পেল, “ওই তো মেয়েটা, গঙ্গার জলে ঝাঁপাবে নাকি?”
ভিকির পিস্তল গর্জে উঠল। তিনকড়ি. বলল, “রাজাবাবুকে কেউ খবর দিয়েছে, চন্দ্রা। তুমি নৌকায় ওঠো...” তিনকড়ি ঘ্বুরে দাঁড়িয়েছে, ওর হাতেও পিস্তল, কিন্তু ভিকির দল নরকঙ্কাল দেখে আঁতকে উঠল । “আমি থাকতে চন্দ্রার কিছু হবে না...”
৩৬ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
অভূুঙঙ্ডে
তনিষ্ঠা অগ্র-পশ্চাদ না ভেবে নৌকায় উঠতেই ও গভীর অর িিিিংকতক তাকী ও জানে না, মনে হলো কেউ যেন ওকে জল থেকে টেনে ঈন। এ ২... তুলতেই ও পুরোপুরি জ্ঞান হারাল। কতক্ষণ ও অজ্ঞান ছিল জানে না, হাসপাতালের বেডে জ্ঞান আসতেই মা ডুকরে উঠলেন, “বারণ করেছিলাম বেরতে, শুনলি না তো!” ৃ 884 হসপিটালের বাইরে থেকে লোকের গলা পাওয়া গেল, বোধহয় মড়া যাচ্ছে। মা রে ছে নে শানে শর জব ওয়া গেছে, ওদেরই শবযাত্রা ।” | “তিনকড়ির ঘাটে, নাগো?” তন্নিষ্ঠার মা চমকে উঠলেন গন. হে ০ ফেলে বলল, “না ।” নর
ঞ রা রস
ভবিতব্য অশনি সংকেত
সিদ্ধার্থ বসু
ভিড ১৯ সংক্রমণ
অকুলান সঞ্চয় ভাড়াড়ে অবক্ষয়, দিন-মজুর হত-ভাগ্যদের পাশে থাকতে কেউ পেওনা ভয়।
ভুলেছি আড্ডা, ছেড়েছি অকারণ টহলদারি, সংক্রমিত মনেও ফেবুতে দেখাচ্ছি বাহাদুরি, কেউবা অসীম প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ হচ্ছে।
জোছনামাখা শিশির ফোঁটায় ভিজে মন বিশুদ্ধ,
সংক্রমনের আশংকায় ঈশ্বরও যে ভীত,
অবোধ সুখচরেরা সামাজিক অনু-বিধান লজ্বিত করছে অবিরত।
ঘরে বসেও দেশ সেবার সুবর্ণ সুযোগ, দৃড় সংকল্লে ব্রতী হও ঘুচবে দুর্ভোগ,
৩৮ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
ভবিতব্য
অহর্নিশ ডাক্তার, পুলিশ, সমাজসেবীরাও সদয়,
ছকে বাঁধা জীবন ছেড়ে হও রে অভয়।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রয়োজন একসুত্রে বাঁধন,
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একতাই বল মাতৃসেবায় বড্ড প্রয়োজন ।
অক্ষয় হোক বেচে থাকার স্বপ্ন, অক্ষয় হোক সুখ আনন্দ ভালোবাসা, মুছে যাক আতঙ্কিত, আশঙ্কায় ভরা জীবন এটুকুই আশা।
' ফেবুতে - ফেস বুকেতে [.
119101151০0: +9179808785804
গুঞ্জন _- অগাস্ট ২০২০ ৩৯
ধারাবাহিক গল্প
স্বাগতা পাঠক (১)
17৯47 “এই. একটা দিনই অফিসের, ছুটি, বন্ধুদের সাথে যে একটু আডডা দ্রিতে যাবো তারও উপায় নেই।” বেশ বিরক্তি নিয়ে বলে উঠল সব্যসাচী... সব্যসাচী রায়, বয়স ৩২ বছর, ভবানীপুরে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে বিগত পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে। একা মানুষের সংসার, বেসিকালি সব্যসাী নর্থ বেঙ্গলের ছেলে। সেই ২৫ বছর বয়েসে, পড়াশুনার সুত্রেই তার প্রথম কোলরুতায় আসা । তখন থেকেই কোলকাতাই তার সবকিছু । তারপর এখানেই. চাকরি আর এইখানেই একটা ফ্ল্যাট কিনে স্থায়ী ভাবে রূয়ে যাওয়া । সব্যসাচীর বাবা নর্থ বেঙ্গলের রেল কর্মচারি। মা মারা যান অনেক ছোটবেলায়। তারপর 'বাবা দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন। সৎ মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্কটা খুব, একটা ভালো ছিল না। কোনো দিন মেনে নিতে প্রারেননি সব্যসাচীর দ্বিতীয় মা। তবে বাবার শ্নেহে তখনও. ঘাটতি আসেনি । কিন্তু মানুষের মনতো,কি আর করা যায়! ৪০ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
ধারাবাহিক গল্প
সব্যসাচীর দ্বিতীয় মায়ের যখন সন্তান হয়, তখন থেকেই তার বাবার ব্যবহারেও অনেক পরিবর্তন আসে। মাঝপথে তার পড়াশোনা ছাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন তার মা, মানে সং মা। কিন্তু ছেলের জেদের কাছে হার মানে পরিবার। নিজের খরচ নিজে চালিয়ে, সব্যসাচী মাস্টার্স কমপ্লিট করে নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ,থেকে ৷ তারপর চলে আসে কোলকাতায়, চাররির পড়াশোনা করার জন্য। সেই পড়াশোনার জন্যও সে নিজের পরিবার থেকে কোনো রকম সাহায্য পায়নি। কোলকাতায় এসে নিজের উদ্যোগে, এক বন্ধুর সাহায্যে গোটা ২৫ স্টুডেন্ট. জোগাড় করে, সে শুধু টিউশন করত একসময়। একটা ছোট্ট বাড়ি ভাড়া, নিজের খাওয়া-দীওয়া আর একটি নামজাদা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার খড়চ, এসব তখন তাতে ভালোই চলে যেত। কোলকাতার বুকে বসে সিবিএসসি বোর্ড এর ছাত্র-ছাত্রী পড়াত সে।
তারপর দু'বছরের মধ্যেই একটা বিরাট মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজও পেয়ে্যায় €ম। জ্যালারি বেশ ভালো। আগে কোম্পানির ফ্ল্যাটে থাকত, তবে। তিন বছর পর স্যালারি বাড়লে, হোম লোন নিয়ে আর নিজের কিছু সেভিংস যোগ করে, সে নিজের একটা, ফ্ল্যাট কিনে নেয়। এই তিন মাস হল সব্যসাটী নতুন ফ্লাটে এসেছে। সত্যি,বলতে তার বাড়িতে কারো প্রতি তেমন টান নেই। তবে তার একটা ছোট্ট বোন আছে, এ সৎ মায়ের মেয়ে, তাকে সে খুব ভালবাসে ।
গুঞ্জন _ অগাস্ট ২০২০ ৪১
ধারাবাহিক গল্প
মাঝে মাঝে ওকে দেখতে যায় সব্যসাচী । রাখি, ভাই ফোঁটা এইগ্তলোতে মনে করে বোনের জন্য উপহার পাঠিয়ে দেয় সে। বোনটিও তাকে খুব ভালবাসে । তবে তার খুব রাগ তার দাদা তার সাথে দেখা করতে আসেনা । শেষ বার গিয়েছিল দু'বছর আগে ॥ আসলে, সৎ মা পছন্দ করেন৷ না সব্যসাচী, বাড়িতে আসুক ।
সৎ মায়ের দুই সন্তান, সব মিলে ওরা.তিন ভাইবোন ॥ মাঝে মাঝে ওর সৎ-মা-সম্পন্তি নিয়ে ঝামেলা করতেন। শেষবার গিয়ে সব ঝামেলা মিটিয়ে দিয়ে এসেছে সে। নিজের ভাগের সম্পত্তিও ছোটবোনের নামে করে দিয়ে চলে এসেছে । সব পাট চুকিয়ে এসেছে, সে. আর কোনোদিন নর্থ বেঙ্গল যাবে না। শুধু মাঝে মাঝে বোনের কথা মনে পড়ে, তখন হয় ভিডিও কল বা ফোনে কথা বলে নেয়। বোন বলেছে সে হাইয়ার স্টাডি করতে কোলকাতায় আসবে কিন্তু ওর মা-ওকে আসতে দিতে চায় না।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে: সর্যসাচীর মতো এমন ভদ্র ছেলে নেই বললেই: চলে কোনো ব্ুকমের বাজে নেশা নেই। তবে মাঝে মারো ওই সিগারেট খায় দু'টো একটা, এই যা। কোনো: বাজে সঙ্গ নেই, হাতে গোনা কয়েকজন বন্ধু। তাদের কয়েকজনের বিয়েও হয়ে গেছে। কয়েকজনের হয়নি। সব্যসাচী: একটা প্রেম করে না। তাই বন্ধুরা উদ্যোগ নিয়েছে ওর জন্য প্রাত্রী দেখে তাড়াতাড়ি ওর বিয়েটা দিয়ে দেবে।
৪২ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
ধারাবাহিক গল্প
দিনটি ছিল ২০ জুলাই। রবিবার অফিস ছুটি । এই ছুটির দিনগুলো বিকেল থেকে সন্ধ্যে অবধি চায়ের দোকানে বসে সব্যসাটী বন্ধাদের সাথে আড্ডা দেয়। সারা সপ্তাহের হাড় ভাঙ্গা খাট্ুনির পর, এই একটা দিনই সে রিফ্রেশমেন্ট পায়। কিন্ত প্রকৃতি আজ আর সঙ্গ দিচ্ছে না। আগে অফিসের কাছে যে ফ্লযাটটায় ছিল, সেখান থেকে চায়ের দোকান মানে ওর আড্ডা দেওয়ার জায়গাটা ছিল একদম কাছে॥ তবে এখন যেখানে সে নতুন বাড়িটা নিয়েছে, সেখান থেকে প্রায় ২০ মিনিট হাঁটা পথ। বৃষ্টির যা তোড়জোড়, তা দেখে আজ ও বাজারেও যায়নি, ঘরে যা ছিল তা দিয়ে মোটামুটি ওই কোনো রকম খিচুরী আর আলুভাজা রান্না করে খেয়েছে বর্ষাকালে এটাই আইডিয়াল খাবার ।
রনি ফোন করেছিল, আজ আড্ডাতে যাবে কি না, সেটা জানার জন্য । সব্যসাচী ঠিকঠাক কিছু বলতে পারেনি। বলেছে বৃষ্টি কমলে জানাচ্ছে, তবে বৃষ্টির যা অবস্থা তাতে মনে হয় না এ কমবার নাম নেবে। ব্যালকনিতে, দাঁড়িয়ে তিনটে সিগারেট শেষ করে দিল সে। বেশ মনমরা॥ হয়ে পড়ল সব্যসাটী। এপার্টমেন্টের নীচের গ্রাউন্ডটা আজ পুরো ফাঁকা, কেউ বের হয়নি। গার্ডটাও নিজের, ঘ্বরে বসে বেস ঘ্বুম দিচ্ছে নিশ্য়ই। এই নতুন বাড়িতে আসার পর. থেকেই কেন কে জানে সব্যসাটীর কিছুই ভালো লাগে না। আসলে আগের ফ্ল্যাটে বিগত পাঁচ বছর ছিল সেখানে একটা মায়া পড়ে গেছে। এইখানকার
গুঞ্জন _ অগাস্ট ২০২০ ৪৩
ধারাবাহিক গল্প
এই. ফ্ল্যাটটা খুব কম দামে পাওয়াতে, ও আর বেশি কিছু ভাবেনি। দেখতে দেখতে € টা বেজে গেলো কিন্তু বাইরে দেখে মনে হচ্ছে সন্ধ্যে ৭ টা হবে।
কালো মেঘে যেন পুরো পরিবেশ ঢেকে আছে। আর তার সাথে »চলছে প্রবল 'বুষ্টি। এর মধ্যে আর কারো ফান আসেনি॥ তার মানে কেউ মনে হয় আজ আর আডছায় আসবে না।এই.ভেবে সে উঠে রান্না ঘরে গেল। একটু চায়ের জল চাপিয়ে দিয়ে এল। মিনিট পাঁচেক পর, সব্যসাটী চা আর এক প্লেট বিস্কুট নিয়ে এসে বসার ঘরের সোফাটাতে বসল টিভিটা চালিয়ে। ভালো কোনো ফিল্মও হচ্ছে না। একটা দু'টো করে চ্যানেল ঘুরিয়ে সে দেখতে লাগল। হঠাৎ বইএর জ্বলে উঠল। হয়তো কোনো ম্যাসেজ এসেছে, থাক, সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশনও হতে পারে, নেটটা অন আছে। সব্যসাচী অতটা মাথা ঘামীলো না৷
প্রায় মিনিট পাঁচেক ,৫কটে ঘেতে,.আবার চোখ পড়ল ফোনটার দিকে রসটা এখন আরও একবার জ্বলে উঠল। এবারও ইগনোর্ করে টিভির দিকে মুখ ঘোরাল সে। কিন্ত এবার খুব আগ্রহ _জাগল, কে মেসেজ পাঠাচ্ছে! উঠে গিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে লক হ্ট্রীনটা খুলে প্রখল দুটো আনরেড মেসেজ। রনি পাঠিয়েছে, “বৃষ্টিটা একটু থেমেছে আমি বেরোলাম তুইও বিসু কাকুর চায়ের দোকানে চলে আয়।”
88 গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
ধারাবাহিক গল্প
আরও একটা মেসেজ এই একই কথা লেখা। সব্যসাটী রনির ফোনে কল করল, নম্বরটা অফ আছে। সেকি, এই তো মেসেজ করল, এখন আবার অফ! সে কি করবে বুঝে উঠেতে পারল না। বাইরে বৃষ্টির গতি একটুও কমেনি বরং বেড়েছে বললেই চলে। যায়। অমিত বলে দিয়েছিল ও আজ আর আসবে না। সন্ধ্যে হবার পর সব্যসাচীও মনস্থির করেছিল. আজ আর যাওয়া হবে না, তবে রনির মেসেজটা তাকে বড় বিপদে ফেলল । আর এই দিকে ওর ফোনটাও বন্ধ। একবার অমিতকে ফোন করবে? রনি ওকেও মেসেজ করেছে কিনা ও যাচ্ছে কিনা... অমিতকে ফোন করাটাও বৃথা হল...। ফোন নট্ রিচেবল... এই দুর্যোগের সময় কারো ফোন যে ঠিকঠাক কানেকশন পাবে না, সেটা আর নতুন কি? কিন্তু এখন সব্যসাচী কি করবে? সাতপাঁচ ভারতে ভারতে সে জামাপ্যান্ট পরে তৈরী হল। রনি এসে ঘুরে যারে। যদিও খুব বেশি প্রবলেমে না পড়লে সব্যসাটীও কোনো দিন বিসু ক্লাকার দোকেনের আড্ডা মিস করেনি, তবুও আজ: এই বৃষ্টির হাল দেখে সেও আশা ছেড়ে দিয়েছিল।.তবে ব্লনির এই.মেসেজে সে এখন রীতিমত কনফিউসড। ফোনেও ব্যাটাকে-প্রাচ্ছে,না। জিনের প্যান্টটা গুটিয়ে নিল সব্যসাটী। হাতে একটা ছাতা ফোনটা একটা পলিথিনের প্যাকেটে ডুকিয়ে সে নিজের পকেটে রাখল।
অগাস্ট ২০২০ ৪৫
ধারাবাহিক গল্প
সব্যসাচী ফোর্থ ফ্লোরে থাকে । সৌভাগ্যবসত ওদের এপার্টমেন্টে জেনেটারের ব্যবস্থা আছে সারাদিন লোড শেডিং থাকলেও সন্ধ্যে বেলা চালিয়ে দেওয়া হয় জেনারেটর, তাতে লিফটও চলে। নিজের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে এসে পাশের করিডোরটা পুরো ফাঁকা দেখে তার মন হল যে... সেক জনশুন্য, গ্রাণহীন, এগার্টমেন্টে একা৷ দাঁড়িয়ে -আছে॥ শুধু কানে, আসছে বাতাসের. তীব্র শব্দ আর বৃষ্টির আওয়াজ। লিফটে করে. সে নেমে গেল। একই রকম ভাবে নীচে এসে পুরো গ্রাউন্ডটা ফাঁকা দেখেও তার আবারও তাই মনে হল
শুধু কিছু কিছু. ঘরের জানলায় আলো দেখা যাচ্ছে। গেটের কাছে এসে সব্যসাচী গার্ড এর ঘরটার দিকে উকি দিল, না ব্যাটা নেই। তার মানে আজ ডুব মেরেছে। এইভাবে না বলে ডুব মারার কোনো মানে হয়! গেট থেকে বেরিয়ে এসে সে রাস্তার দুপ্রাশে তাকাল। না কোনো গাড়ির দেখা নেই, বাস বা লড়ি তো দুর, একটা রিক্সা ভ্যানেরও দেখা নেই। অন্য দিন সে/৫হটেইরিসু কাকার দোকানে যায়, তবে আজ আর হেঁটেএতো দুর (যেতে মন চাইছিল না। মিনিট পাঁচেক দাঁড়িয়ে: কোনো কিছুর দেখা না পেয়ে, অগত্যা সে হাঁটা শুরু কুরল। রাস্তায় ঘদিও কয়েকটা আলো জ্বলছে, তবুও এই ভর সন্ধ্যেবেলায়,প্রায় পুরো রাস্তাটাই শুনশান। একটাও লোকজন: নেই, দ্রেখে মন হচ্ছে - সে মধ্য রাতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। বড় বড় বহুতলের কিছু কিছু
৪৬ গুঞ্জন - অগাস্ট ২০২০
ধারাবাহিক গল্প
ঘরে আলো জ্বলছে । হাতে গোনা কয়েকটা দোকান খোলা । মাঝে মধ্যে হঠাৎ করেই দুই একটা ট্যাক্সি চলে যাচ্ছে ঝড়ের গতিতে । পায়ে হাঁটা লোকজন বলতে এখনও পর্যন্ত শুধু সব্যসাটা নিজেকে ছাড়া আর কাউকে দেখতে. পেল না। বৃষ্টির গতিটাও বেড়েছে. আর দাঁড়ানোর কোনো জায়গাও নেই। “না এরবারে গিয়ে ওই চায়ের দোকানেই দাঁড়াবো।” এই ভেবে সব্যসাটা আরো ভ্রুত পা চালাল। রাস্তায় খুব বেশি জল না জমলেও- পায়ের পাতা ডুবে যাওয়ার মত জল জমেছে। -আর- হাঁটার. সময় সেটাই বেশ একটা অদ্ভুত আওয়াজ