আল-কায়েদা উপমাহাদেশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪
উদ্বেশ্য ও যৌক্তিকতা ওসামা মাহমুদ (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন) আল-কায়েদা উপমহাদেশ এর মুখপাত্র
আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি সকল প্রশংসার মালিক । দূরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের উপর ।
আল-কায়েদা এর নতুন শাখা - জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ - এর পক্ষ থেকে-মুজাহিদীনরা একটি অসাধারণ, দুঃসাহসী এবং অভূতপূর্ব পরিকল্পনা করেছে যার লক্ষ্যবস্ত হচ্ছে আমেরিকা ও তার দৌসরদের নৌবাহিনীতে আক্রমণ করা । সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি এই অপারেশন প্রস্ততি গ্রহণ করা ও তা শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত নিয়ে যেতে মুজাহিদীনদের সাহায্য করেছেন । পাকিস্তান. সেনা বাহিনীর মুখপাত্র 1523 (17651581025 20110 3120015) ইচ্ছাকৃতভাবে এই অপারেশনের ধরন ও আসল উদ্দেশ্য আড়াল করার চেষ্টা করছে। দুনিয়াকে বিভ্রান্ত করা ও প্রো-আমেরিকান নীতির ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য এই অপারেশনকে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর উপর বিশেষকরে করাচিতে অবস্থিত নেভাল ডকইয়ার্ড এর উপর হামলা হিসাবে 158 এবং নৌবাহিনীর মুখপাত্ররা উপস্থাপন করেছে। কিন্ত প্রকৃতপক্ষে এই অপারেশনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত আমেরিকান নৌবাহিনীর নৌবহর এর উপর পিএনএস জুলফিকার রণতরীসহ পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ দিয়ে আক্রমণ করা। পাকিস্তানি নৌবাহিনীর মধ্যে ঢুকে কিছু বহিরাগত লোক এ কাজ করেছে বলে নাটক সাজানো হয়েছেঃ অথচ এই দুঃসাহসীক অপারেশনে অংশগ্রহণকারীরা হচ্ছেন পাকিস্তানি নৌবাহিনীর অফিসারগণ ।
আমরা এই অফিসারদের সাহসীকতা ও ঈমানের দীপ্ততার প্রশংসা করি । মহান আল্লাহ তাদেরকে তার কিতাব গভীরভাবে অবলোকনের মাধ্যমে আমল করার তৌফিক দান করেছেন। তারা জিহাদী আলেমদের ডাকে সাড়া দিয়ে মুজাহিদীনদের কাতারে সামিল হয়ে নিজেদের উপর স্বতন্ত্র দ্বায়িত্ব পালন করেছে। “পদোন্নতি_ও সুযোগ-সুবিধা” এর পিছনে না ছুটে এই অফিসাররা আমেরিকা ও তার দৌসরদের বিরুদ্ধে জিহাদে মগ্ন হয়েছে । এটা শুধুমাত্র আমেরিকার উপরই হামলা নয় বরং আমেরিকানদের গোলাম পাকিস্তানী নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী এবং তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চরম দাসতেের নীতির বিরুদ্ধে বিদ্বোহ। আল্লাহর রহমতে এটা পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর মিথ্যার বেড়াজাল ভেদ করার প্রথম পদক্ষেপ; তবে এটাই শেষ নয় ইনশা*আল্লাহ।
সমুদ্ব পথে আমেরিকান নৌবাহিনীর উপর এই সাহসী হামলার পদক্ষেপের মাধ্যমে এই অফিসাররা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর যেসব অফিসারদের কূলবে ঈমানের অনু-পরিমাণ অবশিষ্ট আছে বিশেষকরে যারা আল্লাহ ও তার দ্বীনের আনুগত্যকে উচ্চপর্যায়ের অফিসারদের আমেরিকার প্রতি আনুগত্যের আদেশের চাইতে বেশি প্রাধান্য দেয় তাদের জন্য শিক্ষনীয় বিষয় হিসাবে পেশ করেছে । এই বিদ্রোহ সেসব অফিসার ও সৈনিকদের অনুপ্রাণিত করবে যারা বছরের পর বছর ধরে সশস্ত্র বাহিনীর আমেরিকার প্রতি দাসত্বের প্রো-আমেরিকান নীতির অতীষ্ট মতভেদকে প্রকাশ্যে বিরোধীতা করার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন এবং কুফরের উপর প্রতিষ্ঠিত এই ব্যবস্থার রক্ষার্থে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেয়ার পরিবর্তে ইসলামকে রক্ষার জন্য নিজের রক্ত কোরবানী করার সুপ্ত ইচ্ছা পোষন করেন।
শহীদ শাইখ ওসামা বিন লাদেন এর মতাদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত আল-কায়েদা উপমহাদেশ এর প্রধান শত্রু আমেরিকা এবং তাদের সশন্ত্ব বাহিনী । এর কারণ নিমুরুপ:
ইসলামকে প্রধান দুশমন হিসাবে আমেরিকা বিবেচনা করে এবং নিজের অস্তিতের উপর হুমকি বলে গণ্য করে। বিগত দু'দশক ধরে আমেরিকা বিরামহীনভাবে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। আমেরিকা ইসলামকে বিজয়ী করার সংগ্রামে লিপ্ত প্রত্যেক আন্দোলনকে নসাৎ করাকে তাদের প্রধান দ্বায়িত বলে মনে করে।
ইসরাইলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে আমেরিকা যারা জাওনিস্ট. আন্দোলনের, শোষণ-নিম্পেষণের প্রধান হাতিয়ার । গাজাসহ প্যালেস্টাইনের অন্যান্য অংশে আমাদের দ্বীনি ভাইদের উপর জুলুম করার প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য আমেরিকাও দায়ী ।
সিরিয়া, ইরাক, ইয়ামেন, মালি, বার্মা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত. এবং বিশ্বের অবশিষ্ট মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলে মুসলমানদের রক্তপাত করার জন্য আমেরিকা দায়ী ।
মুসলমানদের এলাকাতে জুলুম, শোষণ এবং দারিদ্রতার জন্যও আমেরিকা দায়ী। নব্য ওপনিবেশিকতার এই যুগে আমেরিকা মুসলিম দেশে তাদের প্রতিনিধি সরকার-ও-মুরতাদ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে-নিয়ন্ত্রণ করছে। এই পুতুল সরকারের মাধ্যমে মুসলিম উম্মতের ধন-সম্পদ লুষ্ঠন করছে; অথচ বেশিরভাগ মুসলমান. দারিদ্রপীড়িত অবস্থায় রয়েছে।
সাধারণ মুসলমানদের.-ছ্বীন থেকে সরিয়ে দিতে আমেরিকা সেসব ব্যক্তি, আন্দোলন এবং দলকে সাহায্য- সহযোগীতা ও নিরাপত্তা বিধান-করছে যারা সেকিউলারিজম ও নাস্তিকতাকে উদ্ভুদ্ধ করছে।
লক্ষ্যবস্ত হিসাবে কেন নৌবাহিনীকে বাছাই করা হলো?
এটার কারণ হচ্ছে তাদের নৌশক্তির মাধ্যমে আমেরিকা ও তার দোসররা মুসলিম বিশ্বে, বিশেষকরে মক্কা ও মদিনাতে সামরিক.ও অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পেরেছে। বিশ্বে. আমেরিকার শোষণের রাজতৃ কায়েমের প্রধান হাতিয়ার, হচ্ছে নৌবাহিনীর ক্ষমতা । আমেরিকার সাতটি নৌবহরের মাধ্যমে নদী. ও সমুদ্র পথে তাদের রাজত কায়েম করে রেখেছে । আর এভাবেই আমেরিকা গুরুত্ৃপূর্ণ সামুদ্রিক বাণিজ্যিক পথ নিয়ন্ত্রণ করে মুসলিম বিশ্বের পথ সংকীর্ণ করছে এবং মুসলমানদের সম্পদ হরণ করছে। মুসলমানদের থেকে লুষ্ঠিত এই সম্পদকে কাজে লাগিয়েই তারা মুসলিম বিশ্বে স্থায়ী আগ্রাসন চালাচ্ছে ।
আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়ামেন, ইরাক এবং অন্যান্য মুসলিম দেশের মজলুম মানুষের রক্তের বন্যা বইয়ে দিতে এই নৌবহর থেকে যুদ্ধ বিমান উড্ডয়ন করছে। ইসলামিক ইমারত আফগানিস্তানে যুদ্ধরত ক্রুসেডার- বাহিনীর সরঞ্জাম সরবরাহ করতে এই নৌবাহিনীর বহর ব্যবহৃত হচ্ছে।
এজন্য আমরা আমেরিকাকে বলতে চাই: যতদিন পর্যন্ত তোমরা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, জাওনিস্ট ইসরাইলি রাষ্ট্রকে সাহায্য করবে, সাধারণ মুসলমানদের উপর নাস্তিক শাসনব্যবস্থা বলপূর্বক চাপিয়ে দিরে ততদিন পর্যন্ত মেজর নিদাল হাসান এবং এই পাকিস্তানি নৌবাহিনীর অফিসারদের মতো রবের আনুগত্য বান্দারা তোমাদের ও তোমাদের দোসরদের মধ্য হতে আবির্ভূত হয়ে তোমাদের জন্য ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নের জাল বুনবে ।
এই অপারেশনের আরো বিস্তারিত বিবরণ ভবিষৎতে প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ ।
“আল্লাহ তার কার্য সম্পাদনে অপ্রতিহত; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এটা অবগত নয়।” (সুরা ইউসুফ: ২১)
সালাম ও দূরুদ বর্ষিত হোক সর্বশ্রেষ্ট মানব মুহাম্মদ, তার পরিবার এবং তার সাহাবীদের উপর ।
১ প্যালেস্টাইনে ইহুদীদের পুর্নবাসনের আন্দোলন